কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

রাতের আধারে প্রবাসীর ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হোম ডেলিভারী দিচ্ছেন কাউন্সিলর রেজাউল

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া::

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডে ঘরেবন্দী থাকা কর্মহীন ও প্রবাসী পরিবারের ঘরে ঘরে রাতের অন্ধকারে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে হোম ডেলিভারি দিচ্ছেন কাউন্সিলর রেজাউল করিম। তিনি নিজেই প্রবাসীর ঘরে গিয়ে রাতেই এ খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরে তিনি ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থায়নে তার ওয়ার্ডের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় ১৩শত দরিদ্র, দিনমজুর, অসহায় ও শ্রমজীবি নিম্ন আয়ের পরিবারের হাতে চাল ডাল তেল পিয়াজসহ খাদ্য সহায়তাও বিতরণ করে আসছেন।

দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবে এক মহাসংকটের সৃষ্টি করছে। যেখানে উন্নত দেশ গুলো করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে প্রবাসী ভাইদের বহু পরিবার নানা দুশ্চিন্তা ও আতঙ্ক মধ্যে রয়েছে। এছাড়া এ দুর্যোগ সময়ে খাদ্য সংকটে ভুগছেন অনেক পরিবার। প্রবাসী পরিবারের দুর্দশার কথা চিন্তা করে তিনি ইতিমধ্যে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি প্রবাসীর বাড়ি খোঁজে খোঁজে রাতের অন্ধকারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক প্রবাসী পরিবারের নিজে গিয়ে হোম ডেলিভারিতে এই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম।

রাতের আধারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আজ মানুষের জীবনকে মহাসংকটে ফেলে দিয়েছে। এ সংকটময় মুহূর্তে সামাজিক ও পারিবারিক পরিচয় সুবাদে খাদ্য সংকটে থাকা অনেক প্রবাসী ও মধ্যবিত্ত পরিবার এসব উপহার বা খাদ্য সহায়তা জনসম্মুখে নিতে চাই না। তাই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াসে প্রবাসী ভাইদের বাড়ির কথা ও তাদের সংকটের পরিস্থিতি চিন্তা করে হোম ডেলিভারি মাধ্যমে হলেও তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রবাসী প্রতিটি পরিবারে গিয়ে ২৫ কেজি একটি চালের বস্তা, ৩লিটার তেল, লবণ, পেয়াজ, আলো, মরিচ এবং ছয় ধরণের সবজি তরকারিসহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। একইভাবে আগামী রাতেও ওয়ার্ডের অবশিষ্ট প্রবাসী পরিবারের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছাবেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

পাঠকের মতামত: